পরিচিতি
Bollinger Bands Indicator – এটি ফরেক্স ট্রেডারদের কাছে খুব জনপ্রিয় একটি ইনডিকেটোর। এটি তৈরি করেন John Bollinger, এটা মূলত মার্কেটের মুভমেন্ট বুঝতে ব্যাবহার করা হয়। এক কথায় এটি আপনাকে জানাবে মার্কেটের মুভমেন্ট কি এখন High নাকি low. যখন Band গুলো একটি অন্যটির কাছাকাছি থাকে তখন মার্কেটের মুভমেন্ট Low থাকে আর যখন মার্কেটের মুভমেন্ট থাকে তখন Band গুলো প্রশস্থ হয়ে যায়।
উপরের চার্টে লক্ষ্য করুন, যখন মার্কেটে মুভমেন্ট কম ছিল তখন Band গুলো একটি আরেকটির খুব কাছাকাছি ছিল, আর যখন মার্কেটে মুভমেন্ট বেশী তখন Band গুলো অনেক দূরে চলে যায়। মুলত এটাই হচ্ছে Bollinger Bands এর প্রধান কাজ। আপনারা যদি Bollinger Bands সম্পর্কে আরও ভালো করে জানতে চান তাহলে এই সাইটে দেখতে পারেন www.bollingerbands.com.
The Bollinger Bounce
Bollinger Bands এর একটা সুত্র আপনাদের জানিয়ে রাখি, এটা হচ্ছে- মার্কেট প্রাইস Bollinger Bands এর মধ্যের Band এ বার বার আসে। আর এটাই হচ্ছে Bollinger Bounce.
উপরের চার্টটি লক্ষ্য করে আমাদের বলুন, মার্কেট প্রাইস কথায় যেতে পারে এখন?
যদি আপনার উত্তর হয় নিচে নামবে মানে Sell এ যাবে তাহলে আপনি একদম সঠিক। এবার নিচের চার্টটি লক্ষ্য করুন,
আপনি যেটা এখন দেখছেন এটা হচ্ছে একটি পারফেক্ট Bollinger Bounce. এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এরকম কেন হল? উত্তরটা একদম সহজ, Bollinger Bands মার্কেটের ডায়নামিক Support এবং Resistance হিসাবে কাজ করে।
আপনি যতো বড় টাইম ফ্রেমে এটি ব্যাবহার করবেন Band এর সিগন্যাল ও ততো বেশী শক্তিশালী হবে।
Bollinger Bands, ব্যাবহার করার সবচেয়ে ভালো সময় হচ্ছে যখন মার্কেটের মুভমেন্ট খুব কম থাকে। তার মানে হচ্ছে যখন প্রাইস একটি নির্দিষ্ট স্থানে ঘুরাঘুরি করতে থাকে।
Bollinger Squeeze
যখন দেখবেন Band গুলো একটি আরএকটির দিকে চেপে আসছে তখন বুঝবেন মার্কেট যেকোনো একদিকে Breakout হবার জন্য তৈরি হচ্ছে।
যদি কোন Candle উপরের ব্যান্ড ভেঙ্গে উঠে যায় তার মানে হচ্ছে সেটি আরও উপরে উঠবে। আর যদি কোন Candle নিচের ব্যান্ড ভেঙে নেমে যায় তার মানে হচ্ছে প্রাইস আরও নিচে নামবে। এই চার্টটির দিকে লক্ষ্য করুন, ব্যান্ড গুলো একটি আরএকটির দিকে চেপে এসেছে এবং প্রাইস উপরের ব্যান্ডকে ভেঙে উঠে গেছে।
এখন বলুন মার্কেট প্রাইস কথায় যেতে পারে?
আপনার উত্তর যদি হয় বাই (Buy) তাহলে ধরে নিন আপনি ইনডিকেটোরটি বুঝতে পেরেছেন। এবার নিচের চার্টটি লক্ষ্য করুন।
মূলত এভাবেই Bollinger Squeeze কাজ করে। এই কৌশলটি আপনাদের জন্য এমন ভাবে সাজানো হয়েছে যাতে করে আপনি মার্কেটের মুভমেন্ট আগে থেকেই ধরতে পারেন। এই ধরনের সিগন্যাল সবসময় পাওয়া যায় না। আপনি সপ্তাহে ২-৩ বার হয়তবা পেতে পারেন যদি আপনি ১৫ মিনিট চার্টে ট্রেড করেন।
এছাড়াও, আপনি আরও কিছু করতে পারেন Bollinger Bands ব্যাবহার করে কিন্তু এগুলোর মধ্যে উপরেল্লিখিত দুইটি কৌশল সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বেশী ব্যাবহার করা হয়। আশা করি এই ইনডিকেটোরটি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। আমরা আপনাকে অনুরধ করবো রিয়েল ট্রেডে ব্যাবহার করার আগে টেকনিক গুলো ডেমো ট্রেডে ব্যাবহার করে দেখুন তাহলে আপনি আরও বেশী সহজে ধরতে পারবেন।
আশা করি আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগেছে। এই আর্টিকেল সম্পর্কিত বিশেষ কোনও প্রশ্ন থাকলে আমাদের জানাতে পারেন কিংবা নিচে কমেন্ট করতে পারেন। প্রতিদিনের আপডেট ইমেইল এর মাধ্যমে গ্রহনের জন্য, নিউজলেটার সাবস্ক্রাইব করে নিতে পারেন। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো টিউটোরিয়াল দেখার জন্য অনুগ্রহ করে আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন। এছাড়াও, যুক্ত হতে পারেন আমাদের ফেইসবুক এবং টেলিগ্রাম চ্যানেলে। এছারাও ট্রেড শিখার জন্য জন্য আমাদের রয়েছে বিশেষায়িত অনলাইন ট্রেনিং পোর্টাল।