FXBangladesh.com – এনালাইসিস শুরু করার পূর্বে কিছূটা পিছনে ফিরে দেখতে হবে প্রথমে। মাহামারি শুরুর প্রথমে অর্থাৎ, যখন বিশ্বব্যাপী লকডাউন শুরু হয় ঠিক তখনই মেজর কারেন্সি পেয়ার EUR/USD এর আপট্রেন্ড। ২০২০ সালের মার্চ মাসের শেষ দিক থেকে এই কারেন্সি পেয়ার এর প্রাইস 1.0676 প্রাইস লেভেল থেকে মাত্র ৫ মাসের ব্যবধানে প্রায় ১৩০০ পিপ্স বৃদ্ধি পেয়ে আগস্ট, ২০২০ সালে এসে সর্বাধিক প্রাইস লেভেল হয় 1.2000.
মুলত এখান থেকেই প্রাইস ক্রমশ হাইয়ার হাই এবং হাইয়ার লো ফরমেশন তৈরি করার মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট রেঞ্জ এর মধ্যে অবস্থান করছে এবং এখন পর্যন্ত প্রাইস এই রেঞ্জ এর মধ্যেই অবস্থান করছে।
এবার চলুন চার্ট এর দিকে লক্ষ্য করি নেই –
এটি EUR/USD কারেন্সি পেয়ার এর Daily টাইমফ্রেম এর একটি চার্ট। চার্টে এর দিকে যদি ভালো করে লক্ষ্য করি তাহলে দেখতে পাবো, বিগত ২০২০ এর মার্চ মাস থেকে কারেন্সি পেয়ারটি একটি নির্দিষ্ট রেঞ্জ এর মধ্যেই অবস্থান করছিল। যেখানে আমরা একটি ঊর্ধ্বমুখী চ্যানেল এর অবস্থান লক্ষ্য করতে পারছি।
তবে এক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো, চার্ট এর দিকে ভালো করে যদি লক্ষ্য করি তাহলে একটি বেয়ারিশ ডাইভারজেন্স এর অবস্থান লক্ষ্য করছি যেটি সম্ভাব্য ডাউনট্রেন্ড এর নির্দেশ প্রদান করে। তবে প্রাইস এখনই নিচের দিকে নেমে আসবে সেটির কোনও নিশ্চায়তা নেই।
উপরের চার্টে উল্লেখিত অংশে ভালো করে খেয়াল করে দেখুন, প্রাইস ক্রমশ হাইইয়ার হাই ফরমেশন তৈরি করতে পারলেও ইন্ডিকেটর তৈরি করছে লোয়ার হাই। এখানে আমরা ব্যবহার করেছি RSI Indicator যেটি এখনও নির্দেশ করছে প্রাইস রিভার্সাল এর। তবে আবারও বলছি, এই ডাইভারজেন্স কিন্তু ট্রেন্ড এর নির্দেশ করেনা। এটি শুধুমাত্র সম্ভাব্য ট্রেন্ড কোনদিকে যেতে পারে সেটিরও ধারনা প্রদান করে।
আমরা যদি কিছুটা আগের প্রাইস মুভমেন্ট পর্যালোচনা করি তাহলে দেখতে পাবো, প্রাইস এর আগেও একবার এই বেয়ারিশ ডাউইভারজেন্স এর কারনে নিচে নেমে আসে। যেটি ছিল ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে এসে। সুতরাং, এই ডাইভারজেন্স এর উপর দৃষ্টি রাখা বাঞ্ছনীয়।
ট্রেডিং পরামর্শ –
- Daily টাইমফ্রেম এর জন্য এনালাইসিসটি প্রদান করা হয়েছে।
- যারা Buy এন্ট্রি নিয়েছিলেন এখন সময় হয়েছে এন্ট্রি ক্লোজ করে ফেলার। যদি ক্লোজ করতে আগ্রহী না হন তাহলে বিশেষ স্থান নির্বাচন করে স্টপ অর্ডার সেট করে নিতে পারেন।
- নতুন করে কোনও Buy এন্ট্রি গ্রহন করা থেকে বিরত থাকা উচিৎ।
- Sell এন্ট্রি গ্রহন করা যেতে পারে তবে যদি প্রাইস কোনওভাবে 1.2270 এর উপরে অবস্থান করতে সক্ষম হয় তাহলে ধরে নিতে হবে প্রাইস এর পরবর্তী গন্তব্য স্থল হচ্ছে চার্টে বিদ্যমান চ্যানেল এর রেসিস্টেন্স লেভেলে অর্থাৎ, 1.2770 এর কাছাকাছি।
- লংটার্ম এর হিসাবে প্রাইস যতক্ষণ পর্যন্ত বিদ্যমান এই চ্যানেল ব্রেকআউট করতে সক্ষম না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আপ্ট্রেন্ড সক্রিয় থাকবে।
- প্রাইস এর নিচে নেমে আসার সম্ভাবনা প্রবন, সে হিসাবে আমাদের প্রথম টার্গেট হচ্ছে 1.2050 এবং যদি এই লেভেল ব্রেক করতে পারে তাহলে উপরের উল্লেখিত চ্যানেল রেঞ্জ এর সাপোর্ট লেভেল এর কাছাকাছি। অর্থাৎ, 1.1830-50 এর কাছাকাছি।
Covid19 সতর্কতা
ইতিমধ্যেই বিশ্বের প্রায় ১৯৬টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে মহামারি এই ভাইরাস যার কারনে বড় বড় সকল দেশের স্টকমার্কেট এর সুচক কমছে ক্রমান্বয়ে। এমতাবস্থায়, ট্রেডিং এর সময় এবং এন্ট্রি পজিশন কম নেয়ার জন্য অনুরধ করছি আমরা এবং বিদ্যমান কোনও এন্ট্রি স্টপলস ছাড়া না রাখার পরামর্শ প্রদান করছি। কেননা, বিদ্যমান এই পরিস্থিতিতে আমরা যেকোনো ধরনের স্লিপেজ, প্রাইস গ্যাপ, কিংবা বড় ধরনের অস্বাভাবিক মুভমেন্টও দেখতে পারি। সুতরাং, নিজে সতর্ক থাকুন এবং ট্রেডিং এর জন্য পর্যাপ্ত মার্জিন এর ব্যবস্থা করে রাখুন।
আশা করি আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগেছে। এই আর্টিকেল সম্পর্কিত বিশেষ কোনও প্রশ্ন থাকলে আমাদের জানাতে পারেন কিংবা নিচে কমেন্ট করতে পারেন। প্রতিদিনের আপডেট ইমেইল এর মাধ্যমে গ্রহনের জন্য, নিউজলেটার সাবস্ক্রাইব করে নিতে পারেন। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো টিউটোরিয়াল দেখার জন্য অনুগ্রহ করে আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন। এছাড়াও, যুক্ত হতে পারেন আমাদের ফেইসবুক এবং টেলিগ্রাম চ্যানেলে। এছারাও ট্রেড শিখার জন্য জন্য আমাদের রয়েছে বিশেষায়িত অনলাইন ট্রেনিং পোর্টাল।