Martingale Theory- আমাদের বাংলাদেশে বাইনারি ট্রেড করছেন এরকম ট্রেডার এর সংখ্যা গুনে শেষ করা যাবেনা। আমাদের দেশে বাইনারি ট্রেডিং খুব জনপ্রিয় একটি নাম এবং যারা সরাসরি ফরেক্স মার্কেটের সাথে যুক্ত তাদের প্রায় ৭০% ট্রেডার এই বাইনারি ট্রেড করে থাকেন এবং প্রচুর পরিমাণ নতুন ট্রেডার এই ট্রেড করতে আরও বেশী আগ্রহী হচ্ছেন দিনদিন, কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এই বাইনারি ট্রেডিং সম্পর্কে প্রয়োজনীয় গাইডলাইন।
বাইনারি ট্রেডিং করতে হলে আপনাকে সবচেয়ে বেশী যেটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা হচ্ছে ‘কৌশল’। আপনাকে সফলতার সাথে ট্রেডিং করতে হলে প্রচুর পরিমাণ কৌশলী হতে হবে। যেহেতু এই ট্রেড সাধারণত ছোট সময়ের জন্য হয়ে থাকে তাই আপনি যদি কৌশলী হতে না পারেন তাহলে আপনি প্রফিট করতে পারবেন না। আজকে আমরা আপনাদের সাথে এই ধরনের একটি প্রফিটেবল বাইনারি ট্রেডিং কৌশল নিয়ে আলোচনা করবো।
মারটিঙ্গেল থিওরি কি?
চলুন একটু পিছিয়ে যাওয়া যাক। Martingale Theory প্রথমে আসে আঠারো শতকের দিকে। প্রধানত এই থিওরি, জুয়া কিংবা ক্যাসিনোতে ব্যবহার করার জন্য এবং অল্প সময়ের মধ্যেই অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠে। একসময়, ক্যাসিনোগুলোতে এই থিওরি ব্যবহারের জন্য অনেক ধরনের বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়।
মারটিঙ্গেল থিওরির প্রধান নীতি হচ্ছে আপনি প্রথমে যেই ট্রেড করবেন যদি সেটাতে লস করেন তাহলে পরের ট্রেড ডাবল লটে করবেন।
বুঝতে পারছেন না? ঠিক আছে! আরও সহজ করে বলছি,
ধরুন Binary Trading, আপনি EUR/USD পেয়ারে 1 Lot এর একটি বাই/BUY এন্ট্রি নিলেন। কোনও কারণে আপনার ট্রেডটি লসের দিকে চলে গেল। সুতরাং, আপনাকে এই লস রিকভার করার জন্য সাধারনভাবেই অন্য আর একটি এন্ট্রি নিতে হবে? আপনি পরের এই নতুন এন্ট্রি নিবেন ডাবল/Double লটে অর্থাৎ 2 Lot। এতাই হচ্ছে মারটিঙ্গেল থিওরি। সহজ না? আর কিছু নেই এখানে। আশা করি আপনার বুঝতে এখন আর কোনও সমস্যা নেই। ফরেক্স কিংবা বাইনারি ট্রেডের একটি নীতি রয়েছে, আপনার যদি ব্যালেন্স বড় হয় তাহলে আপনি কখনোই লস খাবেন না। কোথাটা আসলেই সত্যি।
বাইনারি ট্রেড সংক্রান্ত অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলসমূহ-
- বাইনারি ট্রেডিং কৌশল- কিভাবে RSI ইন্ডিকেটর ব্যাবহার করবেন?
- বাইনারি ট্রেডিং কৌশলঃ Moving Average কিভাবে সিগন্যাল দেয়?
- বাইনারি ট্রেডিং এ সবচেয়ে বেশী লস হওয়ার কারন সমূহ।
- কিভাবে Iq Option ব্রোকারে একাউন্ট ওপেন করবেন এবং ভেরিফাই করবেন?
মারটিঙ্গেল থিওরি কিভাবে ব্যাবহার করবেন?
আগেই আপনাদের বলেছি- বাইনারি ট্রেডে প্রফিট করতে হলে আপনাকে অনেক বেশী কৌশলী হতে হবে। চলুন তাহলে এবার আমরা একটু কৌশলী হবার চেষ্টা করি। নিচের চার্টটি দেখুন- এটি একটি AUD/JPY এর 30 সেকেন্ড টাইমফ্রেমের চার্ট।
উপরের চিত্রে ভালো করে লক্ষ্য করুন, ধরে নিন আপনি AUD/JPY পেয়ারে একটি সেল/SELL এন্ট্রি নিলেন $1 ইনভেস্ট করে। যেহেতু বাইনারি ট্রেডিং ছোট সময়ের জন্য হয়ে থাকে সুতরাং আপনার ১ম-সেলের এন্ট্রি লসে শেষ হোল। এখন মারটিঙ্গেল থিওরির আওতায় আপনি যখন পরের এন্ট্রি নিবেন আপনাকে তখন ডাবল অর্থ ইনভেস্ট করে নিতে হবে। অর্থাৎ, আপনার পরের এন্ট্রির হবে $2 এর। এতে করে আপনি এই সেল এন্ট্রিতে যদি প্রফিট পান তাহলে আপনার আগের লস উঠে আসবে। এটা হচ্ছে মারটিঙ্গেল থিওরির সুত্র।
মনে করুন, আপনি যেই বাইনারি ব্রোকারে ট্রেড করছেন সেখানে AUD/JPY পেয়ারে 80% প্রফিট রিটার্ন দিচ্ছে। তাহলে আপনার ১ম এন্ট্রি অনুযায়ী আপনার লস হয়েছে $1। এবার, আপনি এন্ট্রি নিলেন (২য় সেল এন্ট্রি) $2 দিয়ে এবং প্রফিট পেলেন। এখন, 80% প্রফিট রিটার্ন অনুযায়ী আপনার টোটাল প্রফিট আসবে $2*80%= $1.60। আপনি আগের ট্রেডে লস করেছিলেন $1 এবং এবার প্রফিট করলেন $1.60 সুতরাং আপনার টোটাল প্রফিট হচ্ছে, $1-$1.60= 0.60 ।
আপনি যদি ভালো করে এই Martingale Theory ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন তাহলে বাইনারি ট্রেডে লস হওয়ার সম্ভাবনা 10% এর নিচে নেমে আসবে। আমরা পরামর্শ দিবো, আপনি রিয়েল ট্রেড ব্যবহার করার পূর্বে ভালো করে প্র্যাকটিস করে নিবেন।
আশা করি আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগেছে। এই আর্টিকেল সম্পর্কিত বিশেষ কোনও প্রশ্ন থাকলে আমাদের জানাতে পারেন কিংবা নিচে কমেন্ট করতে পারেন। প্রতিদিনের আপডেট ইমেইল এর মাধ্যমে গ্রহনের জন্য, নিউজলেটার সাবস্ক্রাইব করে নিতে পারেন। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো টিউটোরিয়াল দেখার জন্য অনুগ্রহ করে আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন। এছাড়াও, যুক্ত হতে পারেন আমাদের ফেইসবুক এবং টেলিগ্রাম চ্যানেলে। এছারাও ট্রেড শিখার জন্য জন্য আমাদের রয়েছে বিশেষায়িত অনলাইন ট্রেনিং পোর্টাল।