FXBangladesh.com – এই সপ্তাহের বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ নিউজ রয়েছে যার প্রভাব ফরেক্স ট্রেডের বিভিন্ন কারেন্সি পেয়ারে উপর বিদ্যমান থাকবে। আমাদের পরামর্শ অনুযায়ী, নতুন করে গৃহীত যেকোনো এন্ট্রি গ্রহন কিংবা বিদ্যমান কোনও এন্ট্রি ধরে রাখার জন্য নিম্নোক্ত নিউজগুলোর উপর সজাগ দৃষ্টি রাখার পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। বিদ্যমান এই নিউজগুলোর কারনে কারেন্সি পেয়ার এর অস্বাভাবিক মুভমেন্ট লক্ষ্য করা যেতে পারে। আপনাদের সুবিধার জন্য নিম্নে এই সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিউজগুলোর তালিকা প্রকাশ করা হল। এখানে বলে রাখা ভাল, বিদ্যমান এই নিউজ এর সময়গুলোকে বাংলাদেশ এর সময় অনুযায়ী সমন্বয় করা হয়েছে।
বিঃদ্রঃ এই তালিকায় বিদ্যমান নিউজগুলো শুধুমাত্র গুরুত্তের দিক থেকে উপস্থাপিত হয়েছে। এই তালিকার বাইরেও আরও বেশকিছু নিউজ এর প্রকাশনা রয়েছে। সবগুলো নিউজ একই সাথে দেখার জন্য অনুগ্রহ করে আমাদের ওয়েবসাইটের নিউজ ক্যালেন্ডার দেখে নিন।
ব্রেক্সিট সতর্কতা:
আগামী মার্চ ১৩, ২০১৯ তারিখে, বিদ্যমান বেক্সিট চুক্তির সর্বশেষ কার্যক্রম হিসাবে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে এর উত্থাপিত বিল এর পক্ষে কিংবা বিপক্ষে হাউস অফ কমন্স এর সদস্যবৃন্দ নিজ ভোট প্রদান করবেন। যার ফলাফল এর উপর নির্ভর করছে, ব্রিটেন তথা পাউন্ড এর ভবিষ্যৎ। ইতিমধ্যেই, এই বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত বার একাধিক বিল এর উপর শুনানি হয়েছে তবে এখন পর্যন্ত আগের উত্থাপিত কোনও চুক্তিই অনুমোদন পায় নি।
জনপ্রিয় সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এর বরাত দিয়ে জানা যায়- “এটিই হতে পারে ব্রেক্সিট এর জন্য ব্রিটেন এর সর্বশেষ সুযোগ কেননা Article 50 এর শর্ত অনুযায়ী ব্রিটেনকে এই ২৯ মার্চ এর মধ্যে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়ার সকল কাজ সম্পাদন করতে হবে”। যদি কোনও কারনে আগামী ১৩ই মার্চ এর উত্থাপিত বিল অনুমোদিত না হয় তাহলে ধারনা করে নেয়া হচ্ছে, ব্রিটেনকে কোনও ধরনের চুক্তি ছাড়াই ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া বাস্তবায়িত করতে হবে। যার ফল হতে পারে ভয়ংকর।
ব্রেক্সিট এর প্রভাব:
গত জানুয়ারি মাস থেকে এখন পর্যন্ত এই ব্রেক্সিট প্রক্রিয়ার বভিন্ন ধরনের কার্যক্রম এর জন্য, পাউন্ড এবং ইউরো এর সকল কারেন্সি পেয়ার বেশ অস্বাভাবিক মুভমেন্ট দৃশ্যমান। আমাদের পরামর্শ অনুযায়ী, যাদের এখন পর্যন্ত এই দুইটি কারেন্সি এর সাথে সম্পৃক্ত কোনও কারেন্সি পেয়ারে এন্ট্রি নেই, তারা অনুগ্রহ করে নতুন এন্ট্রি গ্রহন করা থেকে বিরত থাকুন। যাদের বিদ্যমান এন্ট্রি রয়েছে তাদের জন্য পরামর্শ হচ্ছে, নিজ নিজ রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কৌশল অবলম্বন করে একাউন্টে স্টপ অর্ডার কিংবা পর্যাপ্ত পরিমাণ ব্যালেন্স রাখুন।