fxbangladesh.com – এই বছরের শুরু থেকে ফরেক্স মার্কেটের সবচেয়ে আলচিত কারেন্সি হচ্ছে পাউন্ড কেননা ব্রেক্সিট ইস্যু এবং ব্রিটেন এর চলমান রাজনৈতিক টানাপড়েন এর মধ্যে GBPUSD কারেন্সি পেয়ারটির কমেছে প্রায় ১৩০০ পিপ্স এরও বেশী। যেখানে বিগত বছরের অর্থাৎ ২০১৮ এর ডিসেম্বর থেকে মার্চ ২০১৯ পর্যন্ত প্রায় ৬০০ পিপ্স এর মূল্য বৃদ্ধি হলেও সেটি বছরের ১ম প্রান্তিক এসে মূল্য হারাতে শুরু করে এবং এখন পর্যন্ত এই পেয়ারটির অবস্থান নিম্নমুখী। এবার চলুন একটি চার্ট দিকে লক্ষ্য করা যাক – নিচের H4 টাইমফ্রেম এর চার্টটি একটু ভাল করে লক্ষ্য করুন –
H4 টাইমফ্রেম অনুযায়ী কারেন্সি পেয়ারটি, একটি নিম্নমুখী ট্রেন্ডলাইন এর নিচেই অবস্থান করছে যার অর্থ হচ্ছে, বিদ্যমান ট্রেন্ড সম্পূর্ণরূপে নিম্নমুখী। আমাদের সর্বশেষ এনালাইসিস অনুযায়ী কারেন্সি পেয়ারটি পূর্বের চার্টে বিদ্যমান একটি চার্ট প্যাটার্ন ব্রেক করে বেশকিছু পরিমান নিচে নেমে আসে কিন্তু সেখানে থাকতে না পেরে পুনরায় উপরের দিকে উঠে আসে এবং বর্তমানে ট্রেন্ডলাইন এর কাছাকাছিই অবস্থান করছে।
বলে রাখা ভালো, ব্রেক্সিট ইস্যুতে চলমান সংকটের প্রভাব সকল GBP কারেন্সি এর উপরে বিদ্যমান যার কারনে, এই কারেন্সি পেয়ারগুলোর মুভমেন্ট এক কথায় অস্বাভাবিক। এমতাবস্থায়, আমাদের পরামর্শ অনুযায়ী নতুন করে যেকোনো GBP পেয়ারে কোনও ধরনের এন্ট্রি গ্রহন না করাই হচ্ছে উত্তম। তারপরও যার এন্ট্রি গ্রহন করতে চান, অনুগ্রহ করে স্টপলস ছাড়া কোনও এন্ট্রি গ্রহন করবেন না।
ট্রেডিং পরামর্শ –
- H4 টাইমফ্রেম এর জন্য প্রযোজ্য হবে।
- এই মুহূর্তে নতুন কোনও BUY/SELL এন্ট্রি গ্রহন করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ প্রদান করছি।
- যদি প্রাইস ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করতে সক্ষম হয়, তাহলে নতুন করে BUY এন্ট্রি গ্রহন করা যেতে পারে।
- ট্রেন্ডলাইন এর কাছাকাছি অবস্থানে নতুন করে SELL এন্ট্রি গ্রহন করতে পারবেন।
- ব্রেক্সিট ইস্যুর কারনে কারেন্সি মার্কেট অস্থির থাকার সম্ভাবনা খুব বেশী। সুতরাং বিদ্যমান সকল এন্টির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বনের অনুরধ থাকছে।
- স্টপলস এন্ট্রি, নিজ ব্যালেন্স এবং মানি ম্যানেজমেন্ট অনুযায়ী সেট করে নিবেন।
ব্রেক্সিট সতর্কতা-
চলমান ব্রেক্সিট প্রক্রিয়ায়, ব্রিটেনকে Article 50 এর শর্ত অনুযায়ী ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া বিগত মার্চ ৩০, ২০১৯ এর মধ্যে বাস্তবায়ন করার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে তেমন কোনও বিশেষ সিদ্ধান্ত আসে নি। ইতিমধ্যেই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেজা মে এর পদত্যাগ এবং নতুন করে বরিস জনশন এর ক্ষমতা নেয়ার বিষয়টি ব্রেক্সিট প্রক্রিয়াকে আরও বেশী ঘনীভূত করেছে। ইউ নেতাদের কাছ থেকে সম্পর্ক বাতিল এর সময়কে আরও একটু বৃদ্ধি করার অনুরধের প্রেক্ষিতে ইউ, ব্রিটেনকে অক্টোবর ৩১, ২০১৯ এর মধ্যে চুক্তি বাস্তবায়নের নতুন সময়সীমা বেধে দেয়। অন্যদিকে নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বোরিস জনসন এর ঘোষণা মতে “এই সময়ের মধ্যেই ব্রিটেন প্রয়োজনে কোনও ধরনের চুক্তি ছারাই ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে”।
সুতরাং, ব্রেক্সিট ইস্যুতে এখনও পর্যন্ত কোনও ধরনের সমঝোতা কিংবা চুক্তি বাস্তবায়িত হয় নি। তবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ান ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের জন্য ব্রিটেনকে আগামী অক্টোবর পর্যন্ত নতুন সময় বেধে দিয়েছে। যার ফলে, এই সময়ের মধেই ব্রিটেনকে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের সকল কার্যক্রম শেষ করতে হবে। ইউ নতুন করে আর কোনও ধরনের সময় প্রদান করবে না। আসছে কয়েকদিন GBP এবং EUR পেয়ারের অস্বাভাবিক মুভমেন্ট এর জন্য তৈরি থাকার পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। ব্রেক্সিট সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য অনুগ্রহ করে আমাদের বিশেষ আর্টিকেল “ব্রেক্সিট এর আদ্যোপান্ত” ভালো করে পড়ে নিন।
ঝুঁকি সতর্কতা
ফরেক্স ট্রেডিং একটি ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ মাধ্যম। প্রকাশিত এই এনালাইসিস শুধুমাত্র আপনাকে মার্কেটের বিদ্যমান একটি ধারণা প্রদানের জন্য দেয়া হয়েছে। শুধুমাত্র, এই এনালাইসিস এর উপর ভিত্তি করেই কোনও ধরনের ট্রেডে এন্ট্রি গ্রহন করা থেকে বিরত থাকুন। আপনার কোনও ধরনের লস/ক্ষতির দায়ভার FX Bangladesh গ্রহন করবে না। বিস্তারিত জানার জন্য অনুগ্রহ করে আমাদের Risk Warning আর্টিকেলটি পড়ে নিন।
নতুনদের ফরেক্স ট্রেনিংয়ের স্থান এবং যোগাযোগের ঠিকানাটা বলে দিলে হয়ত একটু উপকৃত হতাম । আশারাখি আমাকে যোগাযোগের ব্যবস্থা করবেন । আমার মোবাইল নম্মর দেওয়া হল ।
কমেন্ট এর জন্য ধন্যবাদ।ট্রেনিং সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য আপনার ইমেইলে পাঠানো হয়েছে। অনুগ্রহ করে ইমেইল চেক করে দেখুন।