- 1. #ধাপ ১: মুল্যবান গিয়ার
- 2. #ধাপ ২: পারফেক্ট ইন্ডিকেটর
- 3. #ধাপ ৩: ইন্ডিকেটরই প্রফিটের মন্ত্র
- 4. #ধাপ ৪: অর্থনীতি আবার কি?
- 5. #ধাপ ৫: সিগন্যালের জন্য দৌড়
- 6. #ধাপ ৬: লাইভ ট্রেডিং দেখুন
- 7. #ধাপ ৭: ট্রেডিং প্ল্যান
- 8. #ধাপ ৮: প্রফিট এবং প্রফিট
- 9. ধাপ ৯: স্টপলস আবার কি?
- 10. #ধাপ ১০: আবেগ ট্রেডিং
- 11. [ সারমর্ম ]
ট্রেডে লস করার ফর্মুলা – আপনি কি জানেন, নিজের ট্রেডিং অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্সকে কিভাবে লস এর মাধ্যমে শেষ করে ফেলা সম্ভব? ১০ দিন কিংবা আরও কম সময়ে? আমরা সবসময়ই প্রফিট করা নিয়ে মাথা ঘামাই। তবে লস করাও যে একটা শিল্পের মধ্যে পড়ে, সেটি ভুলে যাই। তাই ট্রেডিং করার মাধ্যমে কিভাবে নিজের অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স “0” করতে পারেন, সেটি জানার চেষ্টা করবো।
আপনাদের সুবিধার জন্য স্টেপ বাই স্টেপ গাইড উপস্থাপন করছি। যদি আপনি এই গাইডের প্রক্রিয়া কিংবা ধাপগুলো মেনে চলেন তাহলে নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি দিন দশেক এর মধ্যে ট্রেডিং অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স আর থাকবে না।
#ধাপ ১: মুল্যবান গিয়ার
অনেকেরই স্বপ্ন থাকে একটি ট্রেডিং ডেস্ক সেটআপ করার। যেমন, আমরা দেখি বড় বড় ট্রেডিং হাউজগুলোতে অনেকগুলো বড় বড় মনিটর থাকে যেখানে, এক সাথে সবকিছু দেখা যায়। যেমন, একটি মনিটরে আপনি চার্ট, একটি মনিটরে BBC, CNBC, অন্য আরও একটি মনিটরে ইন্ডিকেটর, এরকম করে ব্যবহার করলেন, যাতে মার্কেট এর ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্র বিষয়ও আপনার চোখ এড়িয়ে যেতে না পারে। যেমন অনেকটা নিচের ছবির মতন।
অনেকেই আবার আমাদের কাছে জানতেও চেয়েছেন কিভাবে ৪/৫টি মনিটরে এক সাথে ট্রেড দেখা যায়? তবে আমাদের পরামর্শ হচ্ছে, আপনি নরমাল মনিটর না ব্যবহার করে Ultra HD ক্যাটাগরির 4K মনিটর ব্যবহার করতে পারেন কেননা এই মনিটরগুলোর পিক্সেল এর মান অনেক ভালো।
এধরনের এক একটি মনিটর এর জন্য, হয়তোবা আপনার ৫০-৬০ হাজার টাকা খরচ হতে পারে তবে সমস্যা নেই! বিনিয়োগ করছেন যা পরে ট্রেড করে পুষিয়ে নিতে পারবেন। তাই না ??
আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হচ্ছে, মূল্যবান চেয়ার কেননা, এই চেয়ার যদি ভালো না হয় তাহলে সারাদিন বসে তো আর থাকা যাবে না। এই জন্য Steelcase সিরিজ এর একটি চেয়ার কিনে নেয়া যেতে পারে। তাহলে ট্রেড করতে করতে চেয়ারেই ঘুমালেন, খাওয়া-দাওয়া করলেন। মনও ভালো থাকল।
আরও একটি বিষয় ভুলে গিয়েছিলাম, একটি AC কিন্তু না লাগানো চলবে না। কেননা গরমে, কি আর মাথা ঠিক থাকে বলেন? শান্তির প্রয়োজন রয়েছে। তাই একটি ভালো মানের ট্রেডিং সেটআপ এর জন্য ভালো মানের সরঞ্জজামের প্রয়োজন হয়।
#ধাপ ২: পারফেক্ট ইন্ডিকেটর
আপনি যখনই ট্রেড করার জন্য একটি পারফেক্ট ইন্ডিকেটর খুঁজে পাবেন এর অর্থ হবে, নিজ বাসায় একটি টাকা উত্তোলন করার ATM মেশিন এর মতন। বড় বড় লটে ট্রেড করবেন, আর ডলারে প্রফিট হতে থাকবে। ব্যাস আর কি লাগে বলুন??
কয়েকদিন পরেই হয়তোবা আপনি BMW কিংবা Mercedes এর মতন একটি গাড়ির মালিকও হয়ে গেলেন। ইন্ডিকেটর এর উপর নির্ভর করে বেশী করে ট্রেড করবেন আর, আপনার আলট্রা এইচডি মনিটরে বড় বড় করে সবুজ রঙের এর প্রফিট এমাউন্ট দেখতে পাবেন। প্রথম মাসে গাড়ি এবং এর কয়েকমাসের মধ্যেই গুলশানে একটি ফ্ল্যাটও বুকিং করে ফেলতে পারেন।
এছাড়াও, বিভিন্ন ধরনের Robot কিংবা সফটওয়্যারও পাওয়া যায়। সেগুলো কিনে নিতে পারেন। শুনতে পাওয়া যায়, এই রোবট ব্যবহার করলে নাকি প্রফিট মিস হবেনা। অর্থাৎ, একবারের বিনিয়োগ, সারা জীবনের প্রফিট। শুধু সফটওয়্যার চালু করবেন আর প্রফিট হতে থাকবে।
একটি বিষয় আমাদের চিন্তা হয়, আমাদের দেশে এখন রিজার্ভ নিয়ে বেশকিছু টানা-টানি চলছে। তাহলে বাংলাদেশ ব্যাংক, কেন এরকম একটি সফটওয়্যার ক্রয় করে, ট্রেডিং শুরু করে না? তাহলে রিজার্ভ এর সমস্যাই আর হত না!
আপনার যদি ভিন্ন কোনও মতামত থাকে, তাহলে নিচে কমেন্ট করে জানাবেন।
#ধাপ ৩: ইন্ডিকেটরই প্রফিটের মন্ত্র
যখন এবং যেভাবে ইন্ডিকেটর সিগন্যাল প্রদান করবে তখনই এন্টির জন্য ঝাপিয়ে পরতে হবে। ডানে-বাঁয়ে তাকানো যাবে না। এবং কোনও প্রশ্নও করা যাবে না।
যদিও মার্কেট মুভমেন্ট কিংবা গুরুত্বপূর্ণ নিউজ, ভিন্ন সিগন্যালও দেয় তারপরও সেগুলো নিয়ে চিন্তা কিংবা এনালাইসিস করার কোনও দরকার নেই। ইন্ডিকেটর যদি বলে ডানে যেতে, আপনিও ডানে যাবেন। ইন্ডিকেটর যদি বলে বাঁয়ে, তাহলে আপনাকেও বাঁয়ে যেতে হবে।
এই জন্য, বেশী বেশী করে ইন্ডিকেটর নিয়ে স্টাডি করুন এবং নিত্য-নতুন ইন্ডিকেটর ব্যবহার করে ট্রেডে পজিশন খুজতে থাকুন। মনে রাখবে, ইন্ডিকেটর যদি ক্যাল্কুলেশন করে বলে 2+2=6, তাহলে এটিই আপনি সত্য বলে মেনে নিবেন। কোনও সন্দেহ করা যাবেনা।
বর্তমান সময়ে, আপনি চাইলে আবার নিজ থেকে ইন্ডিকেটর তৈরিও করতে পারেন। এতে করে আপনি একজন আবিষ্কারক হয়ে গেলেন। আপনার তৈরিকৃত ইন্ডিকেটর ব্যবহার করে বিশ্ববাসী উপকৃত হল। কেমন হবে তাহলে বলুন? আপনার কাছে যদি এরকম কোনও ইন্ডিকেটর থাকে, তাহলে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের জানাতে পারেন। আমরা চেষ্টা করবো, নতুন ট্রেডারদের কাছে এটিকে পৌঁছে দিতে। নতুনরাও প্রফিট করল!
#ধাপ ৪: অর্থনীতি আবার কি?
আরে ভাই! আমি ট্রেডে এন্ট্রি নিব, আর প্রফিট করে গাড়ি-বাড়ি করবো। কি অর্থনীতি নিয়ে মাথা ঘামাতে হবে আবার? এত সময় কই! কোন দেশ কি করছে, রাজনৈতিক ঝামেলা হচ্ছে, নাকি হচ্ছে না। অর্থনীতির চাকা ঘুরছে নাকি, বন্ধ হয়ে গেছে? এত কিছু জানার কি আছে? আমি কি অর্থনীতিবিদ নাকি?
আসলেই তাই! আপনার কোনও প্রয়োজনই নেই এতকিছু চিন্তা করার। চার্ট আছে, ট্রেড আছে, ডিপোজিট করেছেন, এবার মনের খুশিতে এন্ট্রি নেন আর প্রফিট এর টাকা ATM মেশিন থেকে তুলতে থাকেন।
কোন কারেন্সির সাথে কোন দেশ জড়িত, সেগুলো জানার কোনও প্রয়োজন নেই। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কি ঘোষণা করলো, তাতে আমার দরকার কি? আমি ভাই EUR/USD তে ট্রেড করি। আমি এখানেই থাকবো। এত কিছু চিন্তা করতে পারবো না!
মানুশিকতা এমন হতে হবে, ট্রেড করুম আর প্রফিট করুম!
#ধাপ ৫: সিগন্যালের জন্য দৌড়
আরে ভাই, ইন্টারনেট থাকলে কি আর এত চিন্তা করতে হয়? গুগলে সার্চ করলেই, হাজার হাজার ওয়েবসাইট আছে, ফোরাম আছে যারা নিয়মিত ট্রেডিং সিগন্যাল দেয়। তাদের কাছে গেলেই, সঠিক সিগন্যাল পেতে পারি। আমরাও বলি! আপনি ঠিকই চিন্তা করছেন।
WhatsApp, Telegram, Facebook Group থেকে শুরু করে বিভিন্ন ফোরাম খুঁজে বের করেন, যেখানে ট্রেডাররা ফ্রি কিংবা টাকার বিনিময়ে সিগন্যাল দেয়। তারপর সেই সিগন্যাল গুলোর ব্যবহার করে ট্রেড করবেন, আর অল্প কিছুদিনের মধ্যেই মনে করেন, Bill Gates কেও ছাড়িয়ে গেলেন। ভালো না বলেন?
আপনি যদি খুব বেশী ভাগ্যবান হন, তাহলে দেখতে পাবেন, অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়া বিশেষ করে ফেইসবুক এবং ইমেইলে আপনাকে, বিভিন্ন ধরনের রোবট ব্যবহার করার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকার বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। এগুলোও আপনার জন্য কাজ করবে বলে আশা রাখি।
এছাড়াও অনেক অনেক বড় বড় ট্রেডার রয়েছে, যারা ফ্রি সিগন্যাল এর মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহে ১০০% নিশ্চিত প্রফিট এর নিশ্চায়তা প্রদান করে। তাদের সাথেও যোগাযোগ করে নিতে পারেন।
এদের কাছে গেলে আপনাকে আর লস দেখতে হবেনা। এই এক্সপার্ট ট্রেডারগন, কম টাকা বিনিয়োগ করেই মনে করেন মিলিয়ন ডলার প্রফিট করে দিতে পারবেন আপনাকে। সুতরাং, এই মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে ট্রেডারগন সবসময়ই আপনাদের জন্য অপেক্ষা করছে। এরাই হচ্ছে মুলত আপনার ট্রেডিং এর জন্য ATM মেশিন। ঘশা দিবেন আর টাকা বের হতে থাকবে।
#ধাপ ৬: লাইভ ট্রেডিং দেখুন
অন্যান্য ট্রেডারদের লাইভ ট্রেডিং দেখতে থাকুন। এর জন্য অবশ্যই তেমন কোনও বিশেষ বুদ্ধিমত্তার প্রয়োজন হবে না। শুধুমাত্র ইউটিউব কিংবা অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে খুঁজলেই পাবেন। সেখানে বিভিন্ন ট্রেডিং চ্যানেল আছে, যারা লাইভে এসে রিয়েল ট্রেডিং করে থাকেন।
এই ট্রেডারদের প্রোফাইল ঘাটিলে দেখতে পাবেন, এরা অনেক বছর ধরে ট্রেড করছেন যা নিশ্চিত ভাবে বোঝায়, এরা জ্ঞান এর দিকে থেকে স্যার Einstein, Aristotle কিংবা Isaac Newton এর মত বুদ্ধিমান।
সুতরাং এই সকল মহৎ, জ্ঞানী এবং বিজ্ঞ ট্রেডারদের কোনও প্রশ্ন করা যাবে না। শুধুমাত্র এদের লাইভ ট্রেডিং দেখতে থাকেন, তবে কিন্তু কোনও প্রশ্ন করা যাবেনা। শুধু দেখবেন আর ট্রেডিং জগতে নিজেকে ধনী হিসাবে গড়ে তোলার স্বপ্নে হাড়িয়ে যান। আরে ভাই! স্বপ্ন দেখতে কি আর কোনও টাকা খরচ করতে হয়, বলুন?
অনেকেই আমাদেরও লাইভ ট্রেডিং করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে আমরা লাইভ ট্রেডিং করলে কিংবা আমাদের লাইভ ট্রেডিং দেখে আপনি কি শিখতে পারবেন, সেটিই আমাদের বোধগম্য নয়। আমরা হয়তোবা ওইযে বিজ্ঞ ট্রেডারদের ন্যায় এতটাও বিজ্ঞ নই! যাই হোক, এই ধরনের লাইভ ট্রেডার চ্যানেলগুলোতে সাবস্ক্রাইব করে রাখতে পারেন। এরা যখন রিয়েল ট্রেডিং লাইভ করে এন্ট্রি পজিশন গ্রহন করবেন, সেটি দেখে দেখে নিজেই ট্রেডে পজিশন গ্রহন করতে পারেন।
এতে করে আশা করছি, আপনার প্রফিটই হবে। সুতরাং, এখনই শুরু করে দিন।
#ধাপ ৭: ট্রেডিং প্ল্যান
ধুর ভাই! কি বলেন এগুলো? ট্রেডিং প্ল্যান এর কি দরকার আছে? ট্রেড করবো, এন্ট্রি নিব আর প্রফিট করতে থাকবো। এছাড়া আর কিছুর দরকার নেই। কোথাও শুনিও নেই এই “ট্রেডিং প্ল্যান” সম্পর্কে।
সকালে ঘুম থেকে উঠে, নাস্তা খেয়ে কিংবা না খেয়ে দামি কম্পিউটারটি চালু করুন, দামি চেয়ারে বসে AC এর ঠাণ্ডা বাতাস খেতে খেতে চার্ট থেকে ইন্ডিকেটর কি সিগন্যাল দেয় সেটি দেখুন তারপর এন্ট্রি নিতে থাকুন এবং প্রফিট করতে থাকুন। একদম সিম্পল, কোনও ঝামেলাই নেই।
ট্রেডে কিভাবে এন্ট্রি নিবেন, লস হলে কি করতে হবে, এতকিছু চিন্তার কিছুই নেই। বিজ্ঞ ট্রেডারগন এর লাইভ ট্রেডিং দেখতে থাকুন, ব্যাস প্রফিট আপনার হবেই।
এত কিছু চিন্তা করে, মাথা-ব্যাথা করার কোনও কারন নেই। শুধু শুধু সময় নষ্ট। তাই এখনই যুদ্ধে নেমে পরেন, জয় আপনার হবেই।
#ধাপ ৮: প্রফিট এবং প্রফিট
ভাই! ট্রেড হচ্ছে, প্রফিট করার জন্য। লসের জন্যকি কেউ ট্রেড করে, বলেন? কি পরিমাণ বিনিয়োগ করে, কি পরিমাণ প্রফিট হবে সেটি চিন্তা করতে থাকুন।
এন্ট্রির পরিমাণ সবসময় বড় নিতে হবে। যেমন ধরুন, ১০০ ডলার ডিপোজিট করে মনে করুন, ১০ লট কিংবা এর থেকেও বেশী পরিমাণ লটের এন্ট্রি গ্রহন করবেন। প্রতি এন্ট্রি থেকে যদি ৫০ ডলার প্রফিট করতে পারেন, তাহলে ১০ লটে *৫০ = ৫০০ ডলার প্রফিট হয়ে যাবে। চিন্তা করে দেখুন, ১০০ ডলার ডিপোজিট করেই ৫০০ ডলার প্রফিট!
এন্ট্রি নিবেন আর প্রফিট করবেন। আর কিছু লাগবে না।
সুতরাং, শুধুমাত্র ট্রেডিং এর জন্য মনোযোগী হউন। লস হবে কেন? আপনি তো আর খারাপ ট্রেড করেন না, তাই না? আপনার এন্ট্রি হবে প্রফিটের জন্য এবং সবসময়ই প্রফিটই হবে, এটি নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি। ব্যাস, ট্রেড থেকে প্রফিট এবং আপনার উপার্জনও হবে অনেক বেশী।
ধাপ ৯: স্টপলস আবার কি?
আপনি একজন উইনার (বিজয়ী)। অর্থাৎ আপনি যেই ট্রেড করবেন সেটিতেই প্রফিট করতে পারবেন। তাই লস এর চিন্তা আপনাকে কখনোই করতে হবে না। আর একটি বিষয় মনে রাখবেন,
Stop Loss is for Losers!
যাদের হার্ট দুর্বল, অল্পতেই চিন্তায় পরে যান, তাদের জন্যই হচ্ছে মুলত এই স্টপলস অর্ডার। এটি আপনার জন্য নয়। সুতরাং, আপনার এগুলো ব্যবহার করার কোনও দরকার কিংবা প্রয়োজন নেই।
যদি আপনার এন্ট্রিতে লসও থাকে তারপরও ধরে নিবেন, কিছু সময় পর লসের এন্ট্রিটি, পুনরায় আপনার পক্ষে চলে আসবে। সুতরাং, চিন্তার কিছুই নেই। প্রফিট আপনার হবেই। তাই শুধু ট্রেড করে যান, প্রফিট গুণতে থাকেন।
#ধাপ ১০: আবেগ ট্রেডিং
এন্ট্রি নেয়ার জন্য অর্থাৎ, ট্রেড করার জন্য চার্ট, ভালো মানে কম্পিউটার এবং পারফেক্ট ইন্ডিকেটর থাকলেই হল। এর থেকে বেশী কিছু লাগে না এবং প্রয়োজনই হয় না।
যখন আপনার মনে হবে, এখন পজিশন নিলে বেশী প্রফিট পাওয়া যাবে তখনই BUY এন্ট্রি গ্রহন করে ফেলবেন। আবার যখন একটু ভয় লাগবে, চিন্তিত হয়ে পড়বেন তখন SELL এন্ট্রি নিয়ে নিবেন।
অর্থাৎ, আপনার মন যা চাইবে তখন সেটাই করবেন। কোনও লজিক, ক্যালকুলেশন কিংবা এনালাইসিস করার প্রয়োজন হবে না। সুতরাং, বেশী বেশী করে ট্রেড করুন এবং প্রফিট করতে থাকুন।
একটি বিষয় সবসময়ই মনে রাখবেন, আপনার মনে যা চাইবে, সেটাই করবেন। মনের জোড়ই হচ্ছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। তাই ট্রেডিং এর জন্য আবেগ অনেক প্রফিটেবল।
[ সারমর্ম ]
মনে রাখবেন, উপরের ধাপগুলো অবশ্যই আপনাকে মেনে চলতে হবে এবং শেষে খুব শিগ্রই আপনার ট্রেডিং ব্যালেন্সে অনেকগুলো ডিজিট দেখতে পাবেন যার ফলে মনে হতে থাকবে আপনি বড়লোক হয়ে গেছেন।
যদি আরও দ্রুত ধনী হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন তাহলে এই ধাপগুলোকে ক্রমাগত অনুসরন করতে থাকুন। তাহলে দেখবেন, সফলতা আপনার দরজায় কড়া নারছে।
তবে যদি আপনি নিজ ট্রেডিং অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্সকে নস্ট কিংবা শূন্য করতে না চান, তাহলে আশা করছি ইতিমধ্যেই বুঝতে পেরেছেন, কি কি করতে হবে আর অন্যদিকে, কি করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
নতুন অবস্থায় যারা ট্রেডার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে আসেন তারা এই ধাপগুলো অনুসরন করতে থাকেন। এমনকি আমরা নিজেরাও সেটি করেছি।
আশা করছি, আপনি এই ভুলগুলো করবেন না।
আশা করি আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগেছে। এই আর্টিকেল সম্পর্কিত বিশেষ কোনও প্রশ্ন থাকলে আমাদের জানাতে পারেন কিংবা নিচে কমেন্ট করতে পারেন। প্রতিদিনের আপডেট ইমেইল এর মাধ্যমে গ্রহনের জন্য, নিউজলেটার সাবস্ক্রাইব করে নিতে পারেন। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো টিউটোরিয়াল দেখার জন্য অনুগ্রহ করে আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন। এছাড়াও, যুক্ত হতে পারেন আমাদের ফেইসবুক এবং টেলিগ্রাম চ্যানেলে। এছারাও ট্রেড শিখার জন্য জন্য আমাদের রয়েছে বিশেষায়িত অনলাইন ট্রেনিং পোর্টাল।
আপনার এই কন্টেন্ট এর মাধ্যমে বোঝা গেলো এই দেশে আপনি একাই মহা পন্ডিত, বাকি সবাই ভোদাই, ধন্যবাদ এভাবে নিজের পান্ডিত্য প্রকাশ করা,এবং বাকি সবাইকে ভোদাই মনে করার জন্য।
মতামত প্রদানের জন্য ধন্যবাদ। আমরা সর্বদাই চেষ্টা করি, ট্রেডিং কে প্রফিটেবল করার। ২০১৬ সাল থেকে এখনও আমরা শিখছি, এবং ওয়েসবাইটের প্রকাশিত সকল কিছুই আমাদের ব্যাক্তিগত ট্রেডিং অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে উপস্থাপন করা যাতে করে, আমরা ট্রেডিং করার ক্ষেত্রে যেই ভুলগুলো করেছি, সেগুলো আমাদের ভিজিটররা না করেন। আমরা নিজেদের পন্ডিত মনে করিনা এবং অন্যকে জ্ঞানহীন কিংবা মূর্খ হিসাবে বিবেচনা করিনা। আমাদের সাথে তারাই যুক্ত, যারা আমাদের মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন এবং হয়ে আসছেন। আশা করি আপনাকে বোঝাতে পেরেছি।