US Election 2020 – বলা হয়ে থাকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হচ্ছে পৃথিবীর সবথেকে ক্ষমতাধর ব্যাক্তি। এবং একদিক থেকে সেটি সত্যও। কেননা পৃথিবীর সবথেকে শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র যার জাতীয় নির্বাচন হবে আগামি নভেম্বর এর ৩ তারিখ।
বাংলাদেশ সময় হিসাবে করলে, ৩ নভেম্বর রাত থেকে পর দিন অর্থাৎ ৪ নভেম্বর হবে ভোট যার ব্যাপক আকারের প্রভাব পরার সম্ভাবনা রয়েছে ফরেক্স ট্রেডিং এর উপর। এর জন্য সকল নতুন এবং পুরাতন ট্রেডারদের কিছু বিষয় মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছি এবং এই US Election 2020 এর কিছু তথ্য আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবো।
নির্বাচন প্রক্রিয়া
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মুলত দুইটি বড় রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা অংশ নেয় যাদের নাম হচ্ছে রিপাবলিক এবং অন্যটি হচ্ছে ডেমোক্রেট। এই দুই দলের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই এর মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট নিরবাচিত হন যিনি পরবর্তী ৪ বছরের জন্য ক্ষমতায় আসেন।
মুলত অন্যান্য দেশের নির্বাচন এর মতন ভোট এর উপর নির্ভর করে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়না। যেমন ২০১৬ সালের নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্র্যাম্প এর থেকে প্রায় ৩০ লক্ষ ভোট বেশি পেয়েও তৎকালীন হিলারি ক্লিনটন ক্ষমতায় আসতে পারেননি।
US Election 2020 এর নির্বাচন এর প্রক্রিয়াটি কিছুটা জটিল। কেননা এখানে জনগন প্রত্যক্ষ ভাবে ভোট প্রদান করে সরাসরি প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করেননা। ভোট এর মাধ্যমে নির্বাচিত হন সিনেটর কিংবা আইনপ্রনেতা গন যাদের সম্মিলিতভাবে পরক্ষভাবে নির্বাচিত হন প্রেসিডেন্ট।
প্রেসিডেন্ট হিসাবে ক্ষমতা গ্রহন করার জন্য কমপক্ষে ২৭০টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট পেতে হবে। বিভিন্ন ধরনের অনলাইন ভিত্তিক জরীপে এখন পর্যন্ত এগিয়ে আছেন জো বাইডেন তারপরও যেকোনো কিছুই হতে পারে এই আসন্ন নির্বাচনে।
কারেন্সি পেয়ার এর প্রভাব
নির্বাচন এর সরাসরি প্রভাব আমরা দেখতে পাবো ফরেক্স ট্রেডিং এর টার্মিনালে। আমাদের দেশ এর মতন, নির্বাচন এর দিন সরকারী কোনও ছুটি থাকেনা যার কারনে, কারেন্সি পেয়ার এর অস্বাভাবিক মুভমেন্ট আমরা দেখতে পাবো। বিশেষ করে সকল ডলার এর কারেন্সি পেয়ার, স্টক শেয়ার এবং গোল্ড প্রাইস এর অস্বাভাবিক মুভমেন্ট থাকার সম্ভাবনা খুবই বেশি থাকবে।
এছারাও, আজ শুক্রবার এই সপ্তাহের শেষ ট্রেডিং এর দিন এবং এই মাসেরও শেষ ট্রেডিং দিন এটি। সামনে সপ্তাহে মার্কেট শুরু হবার পরই শুরু হবে নির্বাচন এর ট্রেন্ড যার কারনে, আসছে সপ্তাহে যেকোনো কারেন্সি পেয়ার গ্যাপে শুরু হওয়াটা স্বাভাবিক।
পরামর্শ
নির্বাচন এর এই সময়ে কোনও ধরনের টেকনিক্যাল কিংবা ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস কাজ সাধারণত করেনা। আমাদের বাস্তবিক অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, এই সময়ে ট্রেড করার অর্থ হচ্ছে নিজের ব্যালেন্স এর ঝুকি নেয়া। এমনটি অতীতে আমাদের এই সম্পর্কিত তিক্ত অভিজ্ঞতাও রয়েছে।
আজ রাত এর পর থেকে, বিভিন্ন ব্রোকার আসন্ন US Election 2020 মুভমেন্ট এর কারনে মার্জিন এবং লিভারেজ এর উপর অতিরিক্ত বিধি-নিষেধ আরোপ করবে। সুতরাং, যাদের ট্রেডিং একাউন্টে এখন পর্যন্ত বেশি এন্ট্রি রয়েছে তারা ট্রেডিং একাউন্টে পর্যাপ্ত পরিমান ফান্ড ডিপোজিট করার ব্যবস্থা করবেন। এর জন্য অনুগ্রহ করে নিজ নিজ ব্রোকারের সাপোর্ট টীম এর সাথে কথা বলার অনুরধ থাকছে।
যারা বিটকয়েন কিংবা গোল্ড এর ট্রেডিং করে থাকেন, তারা নতুন করে কোনও এন্ট্রি গ্রহন করা থেকে বিরত থাকবেন। কেননা নির্বাচন এর ফল গননা থেকেই মার্কেট এর মুভমেন্ট শুরু হবে এবং Safe Heaven Assets হিসাবে এই দুইটি ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট এর প্রভাব থাকবে অনেক বেশী।
প্রেসিডেন্ট হিসাবে কে আসছেন এবং তিনি আসলে ডলার এর উপর প্রভাব কি রকমের হবে সেটি ধারনা করা সম্ভব নয় যার কারনে এই সময়ে টেকনিক্যাল কিংবা ফান্ডমেন্টাল এনালাইসিস কাজ না করার সম্ভাবনাই বেশী। মুলত ট্রডাররা নির্বাচনী ফল এর হিসাবে কিভাবে রিএক্ট করেন সে হিসাবে মার্কেট প্রাইস এর মুভমেন্ট আমরা দেখতে পাবো। অর্থাৎ, ট্রেডারদের সেন্টিমেন্ট হিসাবে প্রাইস এর মুভমেন্ট আমরা দেখতে পাবো।
আসন্ন US Election 2020 নির্বাচন সংক্রান্ত সকল আপডেট জানতে পারবেন আমাদের কমিউনিটি পোর্টাল থেকে। সেখানে চোখ রাখবেন, আমরা চেষ্টা করবো আপনাদের সর্বাত্মক সহায়তা করার।
আশা করি আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগেছে। এই আর্টিকেল সম্পর্কিত বিশেষ কোনও প্রশ্ন থাকলে আমাদের জানাতে পারেন কিংবা নিচে কমেন্ট করতে পারেন। প্রতিদিনের আপডেট ইমেইল এর মাধ্যমে গ্রহনের জন্য, নিউজলেটার সাবস্ক্রাইব করে নিতে পারেন। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো টিউটোরিয়াল দেখার জন্য অনুগ্রহ করে আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন। এছাড়াও, যুক্ত হতে পারেন আমাদের ফেইসবুক এবং টেলিগ্রাম চ্যানেলে। এছারাও ট্রেড শিখার জন্য জন্য আমাদের রয়েছে বিশেষায়িত অনলাইন ট্রেনিং পোর্টাল।